BUET Film Society

Arrival

BUET Film Society

BFS presents “Movie Review”
(Light Spoiler)
🎬Movie: Arrival (2016)
📌Genre: Science Fiction Drama
⏳Duration: 116 minutes
🎭Cast: Amy Adams Jeremy Renner, Forest Whitaker, Michael Stuhlbarg, and Tzi Ma
📽Director: Denis Villeneuve
📕Story by: Ted Chiang
📖Adapted from: Story of Your Life
📊IMDb rating: 7.9/10


অস্কারজয়ী Arrival (2016) মুভিটা অনেকেই দেখেছেন। সর্বকালের সেরা সায়েন্স ফিকশন মুভির তালিকা করলে এই মুভিটা উপরের দিকেই থাকবে বলে আমার বিশ্বাস।
প্লটঃ পৃথিবীর ১২ টি পৃথক লোকেশন/দেশে একই সময়ে একইরকম ১২ টি বৃত্ত খন্ডের ন্যায় স্পেসশিপ উদয় হয়। হঠাৎ এরকম কোনো পরিস্থিতির সম্মুখীন হলে আতংকের সৃষ্টি হওয়াটা স্বাভাবিক। পৃথিবী জুড়ে বিভিন্ন ভাষাবিদ এবং বিজ্ঞানীরা চেষ্টা চালিয়ে যায় স্পেসশিপে থাকা প্রাণিদের সাথে যোগাযোগ করার কারণ তাদের পৃথিবীতে আসার উদ্দেশ্য কি সেটা জানা খুবই প্রয়োজন। আমেরিকান মিলিটারিরা লুইস ব্যাংক্স যে কিনা একজন ভাষাবিদ এবং পদার্থবিদ ল্যান ডনলিকে সাথে নেয়। বিভিন্ন বিজ্ঞানীরা প্রজাতি বৈশিষ্টভেদে এদের হেপ্টাডটস নাম দেয়। হেপ্টাডটসরা বৃত্তাকার কিছু সাংকেতিক চিহ্ন দিয়ে কিছু বুঝাতে চাচ্ছে যেটা মানবজাতির আয়ত্বের বাহিরে। লুইস এবং ল্যান ইশারার মাধ্যমে তাদের সংকেতগুলো সংগ্রহ করে অনুবাদের চেষ্টা চালাতে থাকে। লুইস যখন তাদের ভাষা নিয়ে ভাবে তখন কিছু স্বপ্ন দেখা শুরু করে। তার মেয়ে কিছুদিন আগে মারা যায় এবং স্বপ্নেও একটি মেয়েকে দেখে কিন্তু তার সেই মেয়ে নয়। স্বপ্নগুলো অতীতের ছিলনা কিন্তু সেগুলোর মাধ্যমে বর্তমান উপলব্ধি করতে পারছিল। এরই মধ্যে হেপ্টাডটসদের সংকেতের কিছু কনফিউজিং অনুবাদ বাহির হয়। হেপ্টাডটসরা পৃথিবীর মানুষদের কিছু দিতে চাচ্ছে। সেটা কি অস্ত্র? নাকি কোনো যন্ত্র? নাকি উন্নত প্রযুক্তি? মানবজাতির হুমকিস্বরুপ কিছু নাকি মাইলফলক হতে পারে এমন কিছু? এই রহস্য নিয়েই গল্পটি।
একটুখানি বিশ্লেষণ :পুরো মুভির সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে এই মুভির স্টার্টিং বা এন্ডিং পয়েন্ট নেই, সেই এলিয়েন হেপ্টাপডদের ল্যাংগুয়েজের মতই সার্কুলার, প্যালিন্ড্রোমিক, মানে শেষটাই শুরু, শুরুটাই শেষ। হেপ্টাপডদের ল্যাংগুয়েজ হচ্ছে লোগোগ্রাম বেইজড ল্যাংগুয়েজ। লোগোগ্রাম হচ্ছে নন লিনিয়ার রাইটিং ফর্ম, আমাদের সব ভাষার মত লিনিয়ার নয়। চাইনিজ কাঞ্জি, হায়রোগ্লিফ, কোরিয়ান হাঞ্জা – সবই লোগোগ্রাম। মানে এক লোগো বা চিত্র দিয়েই পুরো একটা শব্দ বা ফ্রেইজকে বুঝানো হয়। বাম থেকে ডানে বা ডান থেকে বামে পড়া লাগে না। আমরা টাইম ডাইমেনশনকে লিনিয়ার ভাবে পারসিভ করি (অতীত থেকে বর্তমান, বর্তমান থেকে ভবিষ্যৎ), তাই আমাদের ল্যাংগুয়েজও লিনিয়ার। কিন্তু হেপ্টাপডরা পুরো টাইমকে নন লিনিয়ার পারসেপশন হিসেবে পারসিভ করে, মানে চায়নিজ কাঞ্জির মত। এই কারণে তাদের ল্যাংগুয়েজটাও নন লিনিয়ার। তারা অতীত বর্তমান ভবিষ্যত সব একই সাথে দেখতে পায়, কিন্তু এটা চেঞ্জ করা তাদের সাধ্যে নাই, কারও সাধ্যেই নাই আসলে, কারন তাদের টাইম লাইন টা ওভাবেই চলে।
এক কথায় বলতে গেলে আমাদের কাছে সময়টা একটা রেখার মত, আর ওদের কাছে সময়টা বৃত্তের মত। বৃত্তের যেমন শুরু বা শেষ নাই, তেমনি সময়েরও নেই, একইভাবে মুভিটিরও শেষ বা শুরু নেই – চলমান বৃত্ত। একটা ল্যাংগুয়েজ যে মানুষের ব্রেইনের গঠন এবং তার রিয়েলিটি পারসেপশনের সাথে রিলেটেড, সেটাই মুভিতে দেখানো হয়েছে। একে বলা হয় Sapir – Whorf Hypothesis, গুগল করে আরো বিস্তারিত পড়তে পারেন। মোট কথা লুইস ব্যাংকস যখন হেপ্টাপডদের ল্যাংগুয়েজ শেখা শুরু করে, তখন তার ব্রেইনও ওদের মতই কাজ করা শুরু করে, অতীত বর্তমান ভবিষ্যতকে একই সাথে দেখতে থাকে, হেপ্টাপডদের মতই। যাইহোক, স্বল্প কথায় বুঝানো সম্ভব না, এটা নিয়ে বিষদ আলাপ করা যেতে পারে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, পরিচালক সিনেমাটি বানিয়েছেন হেপ্টাপডদের পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে, একারণেই আপনিও টাইমকে ওদের মত নন লিনিয়ার ভাবে পারসিভ করেছেন যখন মুভিটি দেখেছেন।
সিনেমার প্রথম 5 মিনিট আর শেষ 15 মিনিট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি দৃশ্য যা সিনেমাটিকে অন্য লেভেলে নিয়ে গেছে। স্মৃতি, সময়, জীবন, ভবিষ্যৎ, অতীত এবং ইমোশন এই বিষয়গুলো নিয়ে Denis Villneuve যেভাবে একত্রে এনেছেন, তা অবিশ্বাস্য।
একজন মা, বন্ধু ও ভাষাতত্ত্ববিদ হিসেবে Amy Adams এর অভিনয় নজর কাড়তে বাধ্য। পাশাপাশি সমান তালে Jeremy Renner দারুন কাজ করেছেন। লোকটা আমার দেখা underrated actor দের মধ্যে অন্যতম। বাকিদের অভিনয় ও প্রশংসাযোগ্য। তবে সিনেমাটোগ্রাফি ও ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক সবকিছুকে ছাপিয়ে গেছে। Sound editing এ সিনেমাটি অস্কার ও পেয়েছে। সাথে VFX এর কাজও অনেক নিখুঁত ছিলো।


Written by,
Takbir Hossain Rudro
Department of Civil Engineering, Batch 20